শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

অস্ট্রেলিয়ায় বজ্রঝড় : নিহত ৯, বিদ্যুতহীন ৯০ হাজার পরিবার 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় বজ্রঝড় : নিহত ৯, বিদ্যুতহীন ৯০ হাজার পরিবার 

অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র বজ্রঝড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বড়দিনের ছুটিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঝড়ের জেরে এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে ৯০ হাজারেরও বেশি পরিবার।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিনের ছুটির মধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড বজ্রঝড়ে নয় জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মূলত গত ২৫ এবং ২৬ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।

এসময় প্রবল বাতাসের জেরে বহু বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কিছু এলাকায় গাছও ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ৯০ হাজারের বেশি পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় মোরেটন বে-তে গ্রিন আইল্যান্ডের কাছে ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইয়ট ডুবে যায়। তাদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী ব্রিসবেন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তরে জিমপি শহরের কাছে দুই নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিলেন। এছাড়া ব্রিসবেনের দক্ষিণে ঝড়ের মধ্যে পানিতে নিখোঁজ হওয়ার পর নয় বছর বয়সী এক মেয়েকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে, বৃষ্টির কারণে নদী উপচ পড়তে পারে এবং ক্যাম্পগ্রাউন্ডগুলো প্লাবিত হতে পারে। এসব স্থানগুলোতে সাধারণত বড়দিন এবং নববর্ষের ছুটিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।

রয়টার্স বলছে, বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার একটি ক্যাম্পগ্রাউন্ডে একজন নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার স্টিভেন মাইলস এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ঝড়ের কারণে কংক্রিটের তৈরি একটি পাওয়ার লাইন ভেঙে পড়েছে। এটিকে তিনি ‘বেশ উল্লেখযোগ্য এবং নজিরবিহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

মাইলস বলেন, চলতি মাসের শুরুতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় জ্যাস্পার জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি এবং সর্বশেষ আঘাত হানা এই বজ্রঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ‘কয়েক বিলিয়ন’ ডলারের হতে পারে।

চলমান এই দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ কেটে গিয়ে বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি দেখা দিতে পারে। যদিও অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানকারী জোনাথন হাউ এবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন, সৌভাগ্যক্রমে আজকে আমরা এতটা ব্যাপক বজ্রঝড় নাও দেখতে পারি। তবে পূর্ব উপকূলজুড়ে এখনও তীব্র বজ্রঝড়ের ঝুঁকি রয়েছে।

টিএইচ